দৌলতখানের পটভূমিঃ
বাংলাদেশের উপকুলীয় ভোলার দ্বীপন্জল ভোলার পূর্বপ্রান্তে সর্বনাশী মেঘনার তীরে অবস্থিত দৌলতখান উপজেলা । প্রচলিত কথায়, ইতিহাসের ভাষায় দৌলতখান ভদ্রলোকের বাসস্থান । এক সময় দৌলতখান ছিল ভোলার প্রান কেন্দ্র । শতবর্ষ পূ্র্বে এখানে ছিল মহাকুমা সদর ।সাগর পারের চর জঙ্গল আবেদত্ত কাহিনীর প্রথম সূত্রপাত মেঘনা তীরের এই দৌলতখানেই । মোঘল আমলের প্রথম দিকেও এই এলাকা ছিল আরাকান রাজ্যের মগ , জলদস্যু ও পর্তুগীজ ফিরিংঙ্গিদের আশ্রয়স্থল । বাংলার মোঘল সুবেদার মীর জুমলার মৃত্যুর পর আমলগীরের মামা এবং সম্রাজ্ঞী নুরজাহানের ভাই আসক খানের পুত্র শায়েস্তা খানকে বাংলার সু্বেদার নিযুক্ত করা হয়েছে । তিনি ১৯৬৬ খিঃ চট্রগ্রাম পর্তুগীজদেও দুর্গ জয় করেন । এসময় মোগল বাহিনীর দুর্ধর্ষ সেনাপতি শাহাবাজ খা তাহার একজন দুঃসাহসিক সামান্ত সেনা দৌলতখার সহায়তায় বঙ্গোপসাগর ও মেঘনার সঙ্গমস্থল সন্দীপ ও উত্তর দিকে মেঘনার উপকুল বাহিয়া পর্তুগীজ জলদস্যৃ ও আরাকানের মগদিগকে স্থল ও নৌ যুদ্বে পরাজিত করে তাহাদেরকে বিতারিত করে এই এলাকায় স্থানী স্থাপন করেন । অতপর মোঘলদের রীতি অনুসারে মেঘনা তীরের তাদের বিজিত এলাকা দুইভাগে বিভক্ত করে ইলিশা নদির উত্তর দিকের নাম রাখেন উত্তর শাহাবাজপুর এবং দক্ষিন অংশের নাম রাখেন দৌলতখা।
দৌলতখান উপজেলা একসময় সম্ভ্যাম্ভ থাকল্রেও বর্তমানে নদী ভাংনের ফলে দৌলতখানের ঐতির্য বিলিনের পথে । নয়টি ইউনিয়ন নিয়ে দৌলতখান উপজেলা গঠিত হলেও বর্তমানে ০৩ টি ইউনিয়ন সম্পুর্ন রুপে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে । এবং দুইটি ইউনিয়নর অনেকাংশ বিলীণ । এমনি অবস্থায় দৌলতখান উপজেলার ৬০% জনগন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মেঘনা নদীর নির্ভরশীল ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস